ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

চকরিয়ায় সংযোগ খালের সেতু ধসেপড়ায় মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
মঙ্গলবার রাতে ঘুর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবের সাথে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নে সংযোগ খালের সেতু ধসেপড়ে গত তিনদিন ধরে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এই অবস্থায় সেতুটি দিয়ে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বর্তমানে চকরিয়া ও পাশের উপজেলা লামার অন্তত ১০ হাজার মানুষ চরম যাতায়াত দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান।

সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, মঙ্গলবার রাতে হামুনের তাণ্ডবের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এসময় কাকারা মানিকপুর সড়কের ফাইতং খালে বন্যার পানির প্রবল স্রোত বেড়ে গিয়ে একপর্যায়ে সেতুটি এপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে ধসেপড়ে।

তিনি বলেন, ফাইতং খালের সংযোগ সেতুর বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় গত তিনদিন ধরে ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ফলে সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর ও পাশের উপজেলা লামার সাথে চকরিয়া উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যে কারণে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ বর্তমানে চরম যাতায়াত দূর্ভোগে পড়েছে।

চকরিয়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সভাপতি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জরুরী ভিত্তিতে ধসেপড়া সেতুটি পুননির্মাণে প্রশাসনের দায়িত্বশীল দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা চালু করা না হলে চকরিয়ার মানিকপুর ও লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের একটি অংশের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী বন্ধ থাকবে। তাতে কৃষিপ্রধান ওই এলাকটির উৎপাদিত সবজিসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনে কৃষকদের বড়ধরণের পরিণত ভোগ করতে হবে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ধসেপড়া সেতুটি সমীক্ষা করে এলজিইডির পক্ষথেকে একটি প্রতিবেদন কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। গতকাল নির্বাহী প্রকৌশলী চকরিয়ার ধসেপড়া সেতু এলাকায় নতুন একটি সেতু নির্মাণে বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন সেতু নির্মাণে অর্থবরাদ্দ ও টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুমোদন না হওয়া সময় পর্যন্ত বিকল্প উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দিয়ে যাতে মানুষের চলাচল নিশ্চিত করা যায় সেইজন্য আমরা দুয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বিকল্প উপায়ে যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতে কাজ শুরু করবেন। আমরা এলজিইডির পক্ষথেকে সবধরনের সাপোর্ট দেব।

পাঠকের মতামত: